একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রিজভী বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায়কে যর্থাথ বিচারের প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি দাবি করেছেন, এই রায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ফলস্বরূপ এবং আদালত সঠিকভাবে রায় দিয়েছেন। রোববার (১ ডিসেম্বর) সময় সংবাদকে মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে এই মামলায় অন্যায়ভাবে বিচার কাজ করা হয়েছিল। তবে আজকের রায় বিএনপির দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পরিণতি এবং ন্যায়বিচারের প্রতিফলন।’ তিনি জানান, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করেছে, এবং আজ সেই সংগ্রামের ফল পাওয়া গেছে।

এদিকে, একই দিন সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রিজভী ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে এবং দেশের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বিশেষভাবে, ভারত বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়।’

রিজভী আরো দাবি করেন, ভারত ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের জন্য ফাইল তৈরি করেছিল, এবং পরবর্তীতে ইন্দিরা গান্ধী সেই ফাইল আবারো চালু করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচার চালাতে ভারত সব সময় চেষ্টা চালাচ্ছে।’

এছাড়া, বিএনপির সিনিয়র নেতা অভিযোগ করেন, ভারত বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হেয় করতে চাইছে, এবং এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশিরা তাদের ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করার জন্য একযোগে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি ভারতকে বাংলাদেশের বাস্তবতা উপলব্ধি করার আহ্বান জানান।

রিজভী আরো উল্লেখ করেন, ‘আওয়ামী লীগ হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন চালালেও ভারত কখনো কিছু বলেনি। এখন তারা আমাদের দেশের ব্যাপারে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা আসলে নিজেদের রাজনৈতিক সংকটের ফল।’

ভারতীয় নীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রিজভী বলেন, ‘ভারতের মূলনীতি হলো ভিন্নমত দমন, আর সেখানে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হয়।’ তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান, যেন তারা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে পারে।

রিজভী শেষ পর্যন্ত বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সরকারের হাতে। বিএনপি এর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখে না।’